Policy is the main keyword of a goal. It bears simple and short message. To implement the policy, we set the procedure and periodically evaluation to show the improvement of main goal. Bangla Policy shows different policy, procedure, HR format, HR policy, Garments policy of Bangladesh, Compliance book, Compliance Policy, EMS policy, Chemical Policy, Health and Safety Policy, Grievance policy and child labor policy. It has all documents of HR and Compliance Department.

BTemplates.com

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

BTemplates.com

About

Best Doona Stroller

 The Doona Stroller is a type of stroller that can be transformed into a car seat, combining both a stroller and a car seat in one product....

শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা


ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা 

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা


হ্যাজার্ড ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি

কারখানার সকল কর্মচারীকে শ্রমিক পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এর জন্য সকল সকল কর্মএলাকা, যাবতীয় কর্মকান্ডে হ্যাজার্ড গুলো চিহ্নিত করে, বিভিন্ন ধাপে ঝুঁকি নিরূপন করা হয়ে থাকে। 

  • কাজের কর্মপ্রক্রিয়া শ্রেণীবদ্ধ করা হয়; 
  • বিপদ সনাক্তকরণ করা হয়; 
  • ঝুকিঁ মূল্যায়ন ( সম্ভাব্য এবং তীব্রতা বিবেচনা করা) 
  • ঝুঁকি নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা নির্বাচন করা; 
  • বিপদ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা; 
  • বিপদ নিয়ন্ত্রেনে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা; 
  • নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা; 
  • ব্যবস্থাপনা এবং কর্মী প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করা; 

কাজের কর্মপ্রক্রিয়া শ্রেণীবদ্ধ করা হয়

কর্মক্ষেত্রে যে কাজ গুলো বিশ্লেষণ করতে হবে তা অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজের ধরণ অনুযায়ী সেখানেগুরুত্বর আঘাতের সম্ভবনা রয়েছে যেমন : একটি নতুন উৎপাদন, নতুন প্রক্রিয়া ডিজাইন করা, লাইন ইনস্টাল করা, নতুন মেশিন ইনস্টাল করা বা নতুন পদ্ধতি শুরু করা ইত্যাদি। 

 বিপদ শনাক্তকরণ

কর্মক্ষেত্রে বিপদ সনাক্তকরণের মধ্যে এমন জিনিস এবং পরিস্থিত খুঁজে পাওয়া যা সম্ভাব্যভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। একটি কর্মস্থল পরিদর্শন পরিচালনা করা এবং কর্মের কাজগুলি কীভাবে সম্পাদিত হয় তা পর্যবেক্ষণ করা, কর্মীদের সাক্ষাৎকার পরিচালনা করা। কারখানার কর্মীরা যে সকল সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করছে তা মূল্যায়ন করা, রক্ষণাবেক্ষণ, ক্লিনিং আপারেশন ইত্যাদি কার্যক্রম গুলি বিবেচনায় করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে থেকে বিপত্তি শানাক্ত করার পদ্ধতি রয়েছে যথাঃ- 

  • নতুন বিপদ সনাক্ত করতে নিয়মিত কর্মক্ষেত্র পরিদর্শন করা; 
  • জরুরী এবং নন-রুটিন পরিস্থিতির সাথে যুক্ত বিপদ চিহ্নিত করা; 
  • রেকর্ড বিশ্লেষন (দুর্ঘটনা, আঘাত, কাছাকাছি মিস, অসুস্থতা ইত্যাদি) 
  • উপাদান নিরাপত্তা ডেটা শীট 
  • বিপদ এবং ঝুঁকি সমীক্ষা 
  • কাজের ঝুঁকি বিশ্লেষন 
  • নিরাপত্তা কমিটি এবং হেল্পলাইনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিবেদন কর্মক্ষেত্রের বিপদ সম্পর্কে বিদ্যামান তথ্য সংগ্রহ করা। 

ঝুঁকি মূল্যায়ন  

একবার বিপদ চিহ্নিত হয়ে গেলে, পরবর্তী ধাপে ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। আঘাত বা ক্ষতির তীব্রতার সাথে সংমিশ্রণে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হয়। ঝুঁকি মূল্যায়ন ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ এবং প্রশমনকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। 

রিস্ক এ্যাসেমেন্ট রেটিং (Risk Assessment Rating)

রিস্ক এ্যাসেসমেন্ট ও রেটিং এর জন্য একটি ম্যাট্রিস্ক ব্যবহার করতে হবে। যে ম্যাট্রিক্স এর মুর আধার হলো প্রতিটি সনাক্তকৃত হ্যাজার্ডের ধরণ অনুযায়ী ঘটমান বিপদের তীব্রতা / ক্ষতির মাত্রা ও সম্ভবনা। রিস্ক এ্যাসেসমেন্ট করার জন্য ব্যবহৃত মূল সমীকরণ হলো, 

রিস্ক = তীব্রতা / ক্ষতির মাত্রা >< সম্ভাবনা বিপদ বা ক্ষতির সম্ভবনা ও 

তীব্রতা পরিমাপ এর জন্য যে রেটিং ব্যবহার করা হয়, তার নিম্ন রূপ 

 

ঝুঁকি ম্যাট্রিক্স (Risk Matrix


ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে সনাক্তকৃত প্রত্যেকটি হ্যাজার্ডের ঝুঁকি নির্ণয় করা হয়। ঝুঁকি নির্ণয়ের ক্ষেতেরে ৩ টি স্তরে নির্ধারণ করা হয়েছে যথাঃ

  • উচ্চ ঝুঁকি -  তীব্রতা / ক্ষতির মাত্রা ও সম্ভাবনার স্কোরের গুনফল যদি ১৫ এর উপরে হয় তবে একে উচ্চ ঝুঁকি হিসিবে গণ্য করে নিরাময়ের জন্য উচ্চ পূর্বাধিকার প্রদান করতে হবে;
  • মধ্যম ঝুঁকি - তীব্রতা / ক্ষতির মাত্রা ও সম্ভাবনার স্কোরের গুনফল যদি ৬ থেকে ১৪ পর্যন্ত হয় তবে একে মধ্যম ঝুঁকি হিসিবে গণ্য করে নিরাময়ের জন্য মধ্যম পূর্বাধিকার প্রদান করতে হবে;
  • নিম্ন ঝুঁকি বা গ্রহনীয় ঝুঁকি - তীব্রতা / ক্ষতির মাত্রা ও সম্ভাবনার স্কোরের গুনফল যদি ৫ বা তার নিচে হয় তবে একে নিম্ন ঝুঁকি বা গ্রহনীয় ঝুঁকি হিসিবে গণ্য করে নিরাময়ের জন্য নিম্ন পূর্বাধিকার প্রদান করতে হবে এবং ক্ষেত্রে হিসেবে গ্রহনীয় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে;
 
 
ঝুঁকি ম্যাট্রিক্স

 

বিপদ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নির্বাচন


কারখানার সমস্ত বিপদ অবশ্যই বিপত্তিকে অপসারণ করে বা ক্ষতির ঝুঁকিকে একটি গ্রহণযোগ্র স্তরে হ্রাস করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, উভয়ই এর সংঘটন রোধ করতে এবং এটি ঘটলে ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি হ্রাস করতে হবে। ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ উপায়গুলো সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্যতা থেকে সর্বনিম্ন স্তরে স্থান দেওয়া হয়, যা নিয়ন্ত্রণের শ্রেণীবিন্যাস নামে পরিচিত। নিয়োগকর্তাদের এমন নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন করা উচিত যা সবচেয়ে সম্ভাব্য, কার্যকরী এবং স্থায়ী। এই বিষয়ে ব্যবস্থাপনার উচিত কর্মীদের সাথে নিয়ন্ত্রণ বিকল্পগুলি পর্যালোচনা এবং আলোচনা করা। যখন কোন একক পদ্ধতি কর্মীদের সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে না তখন নিয়ন্ত্রণ বিকল্পগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহার করুন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নতুন বিপদের প্রবর্তন করতে পারে এমন নিয়ন্ত্রন নির্বাচন করা এড়িয়ে চলতে হবে।
  • নির্মূল
  • প্রতিস্থাপন
  • প্রকৌশল নিয়ন্ত্রণ
  • প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ
  • পিপিই

ঝুঁকি নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম

ঝুঁকি রেটিং অনুযায়ী ঝুঁকি নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার এবং ঝুঁকির মূল্যের উপর ভিত্তি করে, প্রতিটি মূল্যায়ন কার্যক্রম মেকাবেলা ও নিয়ন্ত্রন বাস্তবায়িত করতে হবে। সমস্ত ঝুঁকি একটি গ্রহণযোগ্য স্তরে হওয়া না মাত্র নিয়ন্ত্রনের শ্রেণীবিন্যাস প্রতিটি ঝুঁকি মেকাবেলা ও নিয়ন্ত্রন করা হবে।

ঝুঁকি নিরুপনের তথ্য প্রদান

ঝুঁকি নিরুপন সম্পাদনের পরে এই তথ্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সবাইকে প্রদান করতে হবে। যাতে সকল কর্মচারী ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হতে পারে। নতুন যে সকল শ্রমিক বা কর্মচারী যোগদান করে তাদের ওরিয়েন্টেশন এ বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে।এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ট্রেনিং, রিফ্রেমার ট্রেনিং বা মিটিং এ রিস্ক এ্যাসেসমেন্ট তথ্য প্রদান করা যেতে পারে। নোটিশ বোর্ডে এ সবার জন্য বিভাগ অনুযায়ী ঝুঁকি নিরুপনের ফলাফল প্রদান করা হবে।

ঝুঁকি নিরুপন ডকুমেন্ট 

হ্যাজার্ড সনাক্তকরণ ও ঝুঁকি নিরুপনের সম্পাদনের জন্য কারখানার যে সকল ডকুমেন্ট ও চেকলিষ্ট ব্যবহার করবে তা নিম্নরূপ:
  • হ্যাজার্ড রিপোটিং ফরম;
  • হ্যাজার্ড সনাক্তকরণ ফ্লোর ভিজিট চেকলিষ্ট;
  • হ্যাজার্ড রেকর্ড রেজিষ্টার;
  • ঝুঁকি নিরুপনের রেজিষ্টার ইত্যাদি;

ঝুঁকি নিরুপনের দল

কারখানায় নিয়োজিত সকল ঝুঁকি নিরুপনকারী দলের সদস্য সকলেই প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন ব্যাক্তি নিয়োজিত রয়েছে। ঝুঁকি নিরুপনকারী দল সকল সদস্যদের ইনহাউজ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে। দল নির্বাচন ক্ষেত্রে কর্মপরিধির সকল এলাকা বা বিশেষ করে বিপজনক এলাকা প্রতিনিধি  সংযুক্ত রাখতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।অত্র কারখানায় ঝুঁকি নিরুপনের দলে যারা থাকবে তা হলো,
  • কারখানার সকল বিভাগী প্রধান;
  • সেফটি ম্যানেজার বা প্রতিনিধি;
  • এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সেইফটি কমিটি;
  • এলাকার ভিত্তিক মেশিনের দক্ষ অপারেটর;
  • নার্স বা ডাক্তার;

দূর্ঘটনা প্রবণতা বিশ্লেষন

কারখানার বিদ্যামান দূর্ঘটনা রের্কড ও বিশ্লেষন পদ্ধতি অনুযায়ী সকল প্রকার দূর্ঘটনা রের্কড করা হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত সেইফটি অফিসার ও তদন্তকারী অফিসার এবং ঝুঁকি নিরূপন দল নিয়মিত ভিত্তিতে ঘটনার সকল দূর্ঘটনা প্রবণতা বিশ্লেষন করে থাকে। ঝুঁকি নিরূপন দল দূর্ঘটনা বিশ্লেষন এর পর হ্যাজার্ড বা বিপত্তি সনাক্ত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

করণীয় কাজ বিশ্লেষন

কারখানায় যে সকল মেশিন উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এবং দুর্ঘটনা যেখানে বড় বিপদের সম্ভবনা রয়েছে যে সকল মেশিন বা এলাকা সংকটপূর্ণ সকল কাজ বিশ্লেষন করে সম্ভাব্য যেখানে সম্ভাব্য সকল হ্যাজার্ড গুলো সনাক্ত করা।হ্যাজার্ড সনাক্তকরণ দল ঐ সকল বিপদ জনক এলাকায় পূর্বের ঘটে যাওয়ার সকল ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট ভিত্তিতে বর্তমানে চলমান কর্মপ্রক্রিয়া রিভিউ সহ বর্তমানে চলমান কর্মপ্রক্রিয়া রিভিউ করে বিদ্যমান হ্যাজার্ড গুলো লিপিবদ্ধ করবে।

  • শক্তিযুক্ত সরঞ্জাম কাজ;
  • উচ্চতায় কাজ;
  • সীমিত স্থানে কাজ;
  • বিপজ্জনক পদার্থ জড়িত কোন কাজ;
  • উত্তোলন (উদ্ধার এবং ক্রেন) অপারেশন;
  • কুলিং টাওয়ার রক্ষনাবেক্ষণ কাজ;

 

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন