Policy is the main keyword of a goal. It bears simple and short message. To implement the policy, we set the procedure and periodically evaluation to show the improvement of main goal. Bangla Policy shows different policy, procedure, HR format, HR policy, Garments policy of Bangladesh, Compliance book, Compliance Policy, EMS policy, Chemical Policy, Health and Safety Policy, Grievance policy and child labor policy. It has all documents of HR and Compliance Department.

BTemplates.com

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

BTemplates.com

About

Best Doona Stroller

 The Doona Stroller is a type of stroller that can be transformed into a car seat, combining both a stroller and a car seat in one product....

শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

Hazard Identification


Hazard Identification ঝুঁকি সনাক্তকরন 

Hazard Identification


ঝুঁকি সনাক্তকরন এবং মুল্যায়ন প্রক্রিয়া মাধমে কারখানার সকল সম্ভাব্য বিপদ, বিপদজনক কাজ, বিপদজনক স্থান এবং অনান্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়। এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ রোধে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। 

ঝুঁকি সনাক্তকরন এবং মুল্যায়ন পদ্ধতি হ্যাজার্ড ৫ টি ধাপ সমূহ

  • বিপদ/ ঝুঁকি চিহ্নিত করা; 
  • কে ক্ষতি/ ঝুঁকির সম্মোক্ষীন হতে পারে এবং কিভাবে এই ঝুঁকি সনাক্ত করা যায়; 
  • ঝুঁকি গুলি মুল্যায়ন করা এবং প্রতিরোধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা; 
  • ফলাফল রেকর্ড করা; 
  • ঝুঁকি মুল্যায়ন পর্যলোচনা করা। 

এবিসি লিঃ এর প্রতিটি সেকশনের জন্য একটি সু-পরিকল্পিত পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা জন্য সকল কর্মএলাকা, যাবতীয় কর্মকান্ড, মেশিন পত্র, আচার ব্যবহার সব কিছুর সম্ভাব্য সকল ঝুঁকি সনাক্ত করা মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক ঝুঁকি সমূহ বিশ্লেষন করে থাকে। আর সেই লক্ষ্যে ঝুঁকি সনাক্তকরণ ও নিরুপনের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যগুলো নি¤েœ আলোকপাত করা হল ঃ- 

  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে কারখানার সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে; 
  • ঝুঁকি সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে; 
  • দুর্ঘটনার ঘটার সংখ্যা হ্রাস পাবে; 
  • কারখানাকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে; 
  • শ্রমিকেরা নিরাপদে পূর্ণ মনোযোগ সহকারে কাজ করতে পারবে; 
  • নিরাপদ কর্মপরিবেশ শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে; 
  • শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে কারখানার উৎপাদন বাড়বে, মালিক লাভবান হবে; 


 ঝুঁকি সনাক্তকরন (Hazard Identification) ও বিশ্লেষণের পরিধি 

  •  - সকল নিয়মিত ও অনিয়মিত কার্যক্রম; 
  • - সম্ভাব্য যে কোন ধরনের জরুরী পরিস্থিতি; 
  • - বহিরাগত শ্রমিক , দর্শনার্থী বা অতিথির নিরাপত্তা ঝুঁকি; 
  • - আচার ব্যবহার গত বিষয়; 
  • - কর্মক্ষেত্রের আশপাশের পরিবেশগত বিষয় যা অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রভাব ফেলতে পারে; 
  • - কর্মক্ষেত্রের বাইরে কর্ম সংক্রান্ত সম্ভাব্য হেল্থ / সেইফটি ঝুঁকি; 
  • - অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালপত্র ইত্যাদি; 
  • - কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরনের পরিবর্তন / সংযোজন (অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালপত্র,কর্মপদ্ধতি, লে আউট, ম্যান পাওয়ার) 


প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা 

  • ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ (যেমন - ভবনের অংশবিশেষ, সিঁড়ি, প্রাঙ্গনে, বৈদ্যুতিক লাইট,মেশিনপত্র, ইত্যাদি); 
  • ঝুঁকির প্রকৃতি (যেমন: ফাটল, কর্মকালীন সময়ে তালাবদ্ধ গেইট, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইত্যাদি); 
  • ঝুঁকির মাত্রা বা স্তর (যেমন - উচ্চ / মধ্যম/সাধারণ/সন্তোষজনক নয়); 
  • আশু করণীয় নির্ধারণ ( যেমন - ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত সংস্কার, বন্ধকরণ); 
  • ঝুঁকির প্রকৃতি ও স্তরভেদে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদ্ধতি নির্ধারন এবং
  • কারিগরি ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নিরূপন। 

যন্ত্রপাতি ও কর্মপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা 

  • যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা; 
  • যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই; 
  • ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনা ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ; 
  • শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা এবং 
  • ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনা দায় - দায়িত্ব নিরূপন ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ। 

বিপজ্জনক ধোঁয়া, বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনা 

  • বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের প্রকৃতি নিরূপণ; 
  • রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা; 
  • ব্যবহারিক ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিরূপন; 
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা; 
  • পরিবেশে ঝুঁকি বিবেচনা; এবং 
  • নির্দেশনা ও পরামর্শ। 
  • অগ্নিকান্ড জনিত ব্যবস্থাপনা; 
  • অগ্নিকান্ডের সম্ভাব্য উৎস নির্ণয়; 
  • প্রতিরোধ ব্যবস্থা; 
  • অগ্নি মোকাবিলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন ও দক্ষতা যাচাই; 
  • জরুরী বহির্গমন ব্যবস্থাবলী ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরূপণ; 
  • অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির মান পরীক্ষা; 
  • প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বা মহড়া; এবং - প্রস্তাব বা পরামর্শ। 

 দূর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনাঃ 

  • সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা; 
  • ব্যক্তি পর্যায়ের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা; 
  • ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা; 
  • দায়িত্ব বন্টন; 
  • উদ্ধার কাজে প্রয়োজনী উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরূপন; 
  • বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা; 
  • সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয়; 
  • দায় - দায়িত্ব নিরূপন; 
  • পুন:দুঘটনারোধে শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান। 


 বিপজ্জনক চালনা, পেশাগত ব্যধি ও বিষক্রিয়াজনিত অসুস্থতার ব্যবস্থাপনা 

  • প্রতিষ্ঠানের বিধি ৬৮ এর অধীনে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুুক্ত বিপজ্জনক চালনাযুক্ত পেশাসমূহ নির্ধারণ; 
  • প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত তফসিলভুক্ত ও তালিকাভুক্ত রাসায়নিক পদার্থের তালিকা প্রণয়ন; 
  • বিপজ্জনক পেশা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ; 
  • সংশ্লিষ্ট পেশাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন; এবং - স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নির্দেশনা প্রদান। 

বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা এবং কর্তব্য 

Implementation team and Resonsibility

১. সার্বিক তত্বাবধানে - প্রশাসন দায়িত্ব ও কর্তব্য


ঝুঁকি সনাক্তকরন এবং মুল্যায়ন নীতিমালা প্রনয়ন সংক্রান্ত যে কোন আইন কানুন প্রবর্তন, পরিবর্তন ও সংশোধন হলে তিনি তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। তিনি ঝুঁকি সনাক্তকরন এবং মুল্যায়নে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের দায়িত্ব বন্টন করে দিবেন যাতে কাজ করতে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। সময় সময় দ্বায়িত¦ ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে তিনি মিটিং করবেন। ঝুঁকি সনাক্তকরন এবং মুল্যায়ন নীতিমালা বিষয় গুলো পর্যবেক্ষন করবেন। যে কোন জরুরী অবস্থায় উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। 

২. ইলেকট্রিক্যাল ঝুঁকি দায়িত্ব ও কর্তব্য


  • সমস্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ নিরাপদভাবে করতে হবে তা নিশ্চিত করবে। 
  • কোথাও কোন খোলা তার, ইনসুলিশন টেপযুক্ত তার থাকবেনা তা নিশ্চিত করবে। 
  • কোথাও কোন বাতি ফিউজ হলে তা সাথে সাথে বদলাতে হবে যেন আলোর স্বল্পতা না হয়। 
  • মেইন সুইচ বোর্ড গুলি যথাযথ ভাবে চিহ্নিত করে সেগুলো সব সময় সুগম (Accessible), রাখতে হবে যেন প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতে কেউ বাধা প্রাপ্ত না হয়। 
  • মেইন সুইচ বোর্ডের উল্লেখ যোগ্য সুইচগুলোর On এবং Off এর Direction মার্কিং করে রাখতে হবে। 
  • মেশিনের সাথে সংযুক্ত তার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক তার এমন ভাবে বিন্যস্ত করতে হবে যেন অপারেটরদের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্থ না হয়। 
  • সমস্ত এ্যালার্ম সিস্টেম যথাযথ ভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ কেটে দেয়া অবস্থায় এগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। 
  • বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্যাক্টরীতে পর্যাপ্ত আলোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক Emergency Light এর ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • সমস্ত DB/SDB বিদ্যুৎ সংযোগস্থলে রাবার মেট রাখতে হবে। 

৩. ফায়ার ঝুঁকি কারখানার সকল এরিয়া - ফায়ার সেইফটি

  • ফ্যাক্টরীর আয়তন অনুযায়ী অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকবে যে গুলো প্রতিমাসে রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে এবং ফ্যাক্টরীর লক্ষ্যনীয় জায়গায় অবস্থিত খাকবে। 
  • ফ্যাক্টরীর কাজ চলাকালীন কোন অবস্থাতেই ফ্যাক্টরীর নির্গমন পথ বন্ধ রাখা যাবে না। 
  • আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার এ্যালার্ম ও গং বেল বাজাতে হবে। 
  • মাসে অন্ততঃ একবার অগ্নি প্রতিরোধের অনুশীলনের মাধ্যমে শ্রকিমদেরকে এই অনাকাঙ্খিত দূর্যোগের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। 
  • বহিঃর্গমন পথ ও লেন গুলি হলুদ ও লাল রং দিয়ে স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করতে হবে। 
  • জরুরী বহিঃর্গমন পরিকল্পনা লিখিত ও স্কেচের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য জায়গায় টানাতে হবে এবং সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সম্ভাব্য ধারনা থাকতে হবে। 
  • ফ্যাক্টরী নিরাপদ বহিঃর্গমন নিশ্চিত করতে প্রতি ২ মাসে একবার অগ্নি মহড়া করা হয়। 

৪. বিল্ডিং ঝুঁকি (কারখানার সকল এরিয়া) সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

  • বি.এনবি.সি আনুযায়ী বিল্ডিং তৈরি হয়েছে কিনা? তা নিশ্চিত করতে হবে। 
  • কারখানার লোড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। 
  • ডাম্পিনেস এন্ড ওয়াটার পোন্ডিং মেইনটেনেন্স ও ইন্সপেকশন নিশ্চিত করবে। 
  • বিল্ডিং কর্শন মেইনটেনেন্স ও ইন্সপেকশন নিশ্চিত করতে হয়। 
  • স্ট্রাকচারাল ক্র্যাক মেইনটেনেন্স ও ইন্সপেকশন নিশ্চিত করতে হয়। 
  •  ইন - স্ট্রাকচারাল এলিমেন্ট এলিমেন্ট এন্ড ব্রিকিং মেইনটেনেন্স ও ইন্সপেকশন নিশ্চিত করবে। 

৫. মেশিন ঝুঁকি (কারখানার সকল মেশিন এরিয়া) -মেক্যানিক্যাল -

কারখানায় নি¤েœাক্ত যন্ত্রপাতিসমূহ পর্যাপ্ত নির্মান ব্যবস্থা দ্বারা দৃঢ় ভাবে ঘিরে রাখতে হবে। প্রধান চালিকাযন্ত্রের প্রতিটি চলমান অংশ এবং প্রধান চালিকাযন্ত্রের প্রতিটি চলমান অংশ এবং প্রধান চালিকা যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি ঘূর্ণায়মান চাকা। 

  •  নি¤েœাক্ত যন্ত্রপাতিসমূহ নিরাপদভাবে ঘিওে রাখতে হবে। 
  • ইলেকট্রিক জেনারেটর, মোটর ও রোটারী কনভার্টরের প্রতিটি অংশ। 
  • যেকোন যন্ত্রপাতির প্রতিটি বিপজ্জনক অংশ। 
  • শর্ত হচ্ছে, কোন যন্ত্রের কোন অংশ উপরে উল্লেখিত বিধি মোতাবেক অবস্থায় রয়েছে কিনা নিরাপদ ব্যবস্থাধীনে স্থাপিত হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করার সময় সংশ্লিষ্ট যন্ত্র সঠিকভাবে চালু আছে কিনা তা বিবেচনায় আনা হবে না, বিধি মোতাবেক যন্ত্রটি চালু করা। 
  • প্রতিটি সংলগ্ন স্ক্রু, বেল্ট এবং ঘূর্ণায়মান চাকার প্রতিটি চাবি বা পিনিয়ন, শ্রমিক যার সংস্পর্শে আসার সম্ভবনা আছে, অনুরুপ সংস্পর্শে আসা রোধ করার জন্য দৃঢ়ভাবে ঘিরে রাখা ব্যবস্থা করবে। 

৬. কেমিক্যাল ঝুঁকি (কারখানা সকল এরিয়া) কেমিক্যাল রেন্সপনসিবল 

রাসায়নিক পদার্থ সাধারনত তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমন 

 ক) সাধারন রাসায়নিক পদার্থ, 
 খ) সল্প বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ, 
 গ) বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ। 

কেমিক্যাল ব্যবহার করার কার্য পদ্ধতি

  • কেমিক্যাল ড্রাম খোলার পূর্বে দেখে নিতে হবে ড্রামের গায়ে সঠিক লেবেল আছে কিনা। 
  • ড্রামের গায়ে লেবেল এবং এম.এস.ডি.এস না থাকলে উক্ত ড্রাম খোলা যাবে না। 
  • কেমিক্যাল ব্যবহার করার পূর্বে কেমিক্যালের এম.এস.ডি.এস ভালভাবে পাঠ করে নিতে হবে। 

সুরক্ষাঃ- 

  • কেমিক্যাল নাড়াচাড়া করার সময় চোখের সুরক্ষার জন্য সাইডশিল্ড সম্পন্ন চশমা পরিধান করতে হবে। 
  • মুখমন্ডল সুরক্ষার জন্য ফেসশিল্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে কেমিক্যাল ঢালার সময় ছিটকে মুখমন্ডলে না পড়ে। 
  • প্রতিবার সাইড শিল্ডসম্পন্ন চশমা ও ফেস শিল্ড ব্যবহারের পূর্বে পরিস্কার করে নিতে হবে। 
  • হাতের সুরক্ষার জন্য কেমিক্যাল প্রতিরোধী গ্লাভস পরিধান করতে হবে। 
  • কেমিক্যাল ব্যতিত অন্যকোন বস্তু যেমন দরজার ছিটকিনি, টেলিফোন, খাতা ইত্যদি স্পর্শ করার পূর্বে গ্লাভস খুলে নিতে হবে। উত্তপ্ত বস্তু নাড়াচাড়া করার সময় তাপ প্রতিরোধী গ্লাভস পরিধান করতে হবে। তবে তাপ প্রতিরোধের জন্য এ্যাসবেসটস এর গ্লাভস পরিধান করা যাবে না। 

৭. বায়োলজিক্যাল ঝুঁকি কারখানা সকল এরিয়া -

ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিদের কর্মরত শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পান করার বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। পাত্রে রক্ষিত পানি সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ব্যবহার ও পানির আর্সেনিক পরীক্ষা করতে হবে। পানির পাত্রগুলি ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে রাখতে হবে। যেন শ্রমিকরা সেখানে বসে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে। 

  • ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যার অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পৃথক পুরুষ ও মহিলা টয়লেট থাকবে। টয়লেটের বেসিনে ও পানি নির্গমনের স্থানে সুগন্ধি নেফথালিন ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তোয়ালে, লিকুইড সাবান, বদনা ও ওয়েষ্টেজ পেপার বাস্কেঠ থাকবে। মহিলা টয়লেটে ঢাকনযুক্ত ওয়েষ্টেজ পেপার বাস্কেট থাকবে। সার্বক্ষনিক পানির ব্যবস্থাসহ ফ্লাশিং সিস্টেম অবশ্যই থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই টয়লেটে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কোন নল দিয়ে কোন অবস্থাতেই পানি লিকেজ হতে পারবে না। প্রতিটি টয়লেটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লিপার থাকবে সেগুলো শ্রমিকরা শুধু টললেটের ভেতরে ব্যবহার করবে। 
  • প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা এবং তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। 
  • কোন ব্যক্তি কারখানায় পিকদানি ছাড়া কারখানার আঙ্গিনার মধ্যে থু থু ফেলবেন না। এ বিধান সম্পর্কে এবং এর লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার ভেতরে উপযুক্ত স্থানে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টানিয়ে রাখা। 
  •  সুষ্ঠ কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরীন ও পারিপাশির্^ক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা একান্ত প্রয়োজন। ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন সেকশন, সিড়ি ও যাতায়াতের স্থান সার্বক্ষনিক পরিস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত একবার জীবাণুনাশক দিয়ে ধৌত করতে হবে। কর্মস্থলের দেওয়াল ও কানির্শ প্রয়োজন অনুযায়ী বছর অন্তত একবার রং করতে হবে। শ্রমিদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত বিভিন্ন লিফলেট টানাতে হবে। বর্জিত দ্রব্য জঞ্জাল বা নির্গত ময়লা থেকে সর্বদা ফ্যাক্টরীকে পরিস্কার রাখতে হবে এবং এগুলো ফ্যাক্টরী থেকে পৃথক অগ্নিরোধক বর্জ্য দ্রব্যের জন্য নির্ধারিত স্টোরে রাখতে হবে। 

৮. কারখানা সকল এরিয়া 

কারখানার সকল নিরাপত্তা কমী - সিকিউরিটি বিভাগের সকল কর্মী সকল কর্মচারি এবং কর্মকর্তার পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে। 

সকল দরজা , জরুরি বাহির বা সিড়ি বাধামুক্ত রাখবে। কোন দরজা , জরুরি বাহির বা সিড়ি তালা বদ্ধ রাখা যাবেনা। উক্ত বিষয়টি সবসময় নিশ্চিত করবে।


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন