Recruitment Policy নিয়োগ নীতিমালা
Recruitment Policy নিয়োগ নীতিমালা
Recruitment Policy নিয়োগ নীতিমালা মূলনীতি
সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্য সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ, নিখুঁত ও অংশগ্রহনমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনসুরন করে থাকে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনরূপ বৈষম্য বা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহন করে না, যে কোন প্রকার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর কর্মযোগ্যতাকেই অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থীকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। সম অধিকার নিশ্চিত করণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যেমে দক্ষ, সামঞ্জস্য পূর্ণ ও প্রতিযোগীতামূলক নিয়োগ নীতিই ইহার উদ্দেশ্য। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অপক্ষপাতিত্ত্ব মূলক বা বৈষম্যহীন নিয়োগ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। সুষ্ঠু, সুশৃংঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিভাবে কর্মী নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি সুনির্দিষ্ট “নিয়োগ নীতি” প্রনয়ন করেছে।
অঙ্গীকার:
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্িরমক নিয়োগ বা নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন অভিযোগ উত্তাপিত হলে কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। উৎপাদনের সকল স্তরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তঃর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরণ বিধি ও নিয়মও মানা হইয়া থাকে। এই নীতি কার্যকর করতে ক্রেতাদের আচরনবিধি (COC), আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন- ২০১৯ এবং বেপজা প্রদও নির্দেশনা যথাযথ ভাবে অনুসরন করে।
নিয়োগ নির্দেশিকাঃ
প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক এবং দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনা সকল স্তরে যোগ্য ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিবে। এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ বিবেচ্য নয়। যোগ্যতা ও দক্ষতাই নিয়োগ নীতির মূলনীতি। নিয়োগ নীতি প্রতিষ্ঠানে যথাযথ কার্জকর করার জন্য ব্যবস্থাপনা নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করিবে। উল্লেখ্য যে হয়রানি এবং উৎপিড়ন ব্যাতিরেকে সকল শ্রমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করা হয় ।
ইহা কোন শিশু শ্িরমক নিয়োগ করবে না।
শ্িরমক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইহা সাধারণভাবে কাজের ধরন ও যোগ্যতা উল্লেখ করে স্থানীয়/জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, পোষ্টার, ব্যানার, অনলাইন, পি.এ সিস্টেমে ঘোষনা বা অন্য কোন কার্যকর উপায়ে (যদি থাকে) বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবে।
ইহা চাকুরী প্রার্থীদের প্রাথমিক ভাবে বাছাই করবে। আবেদনকারীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই, প্রার্থীর বয়স পরীক্ষা, সক্ষমতা যাচাই, সাক্ষাতকার গ্রহন, পেশাগত দক্ষতা যাচাইয়ের পর বেতন, পদবী ও সুযোগ সুবিধা নির্ধারণের মাধ্যমে নিয়োগ নিশ্চিত করা হইবে।
শ্িরমক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন- ২০১৯ মানা হয়। এবং নিয়ম অনুসারে জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, শিক্ষা সনদ, পারিবারিক কার্ড (যদি থাকে) চেক করা হয়।
শ্িরমক বাছাই বা নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্র কোম্পানীতে কর্মরত কোন লোক বা বাইরের কোন লোক যাতে কোন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা বা চাঁদা না নিতে পারে কর্তৃপক্ষ তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে থাকে।
কোন মহিলা প্রার্থীকে কোন প্রকার গর্ভাবস্থার বিষয়ে প্রশ্ন বা পরীক্ষা করা হইবে না।
নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর ইহা অবশ্যই প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র ও চাকুরীর চুক্তিপত্র প্রদান করিবে।
নিয়োগের জন্য মনোনিত প্রত্যেককেই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় । নিয়োগ পত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকেঃ পদ, যোগদানের তারিখ, বেতন ভাতা, আবেক্ষাকাল, চাকুরী অবসানের ক্ষেত্রে উভয় (কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক)পক্ষের শর্তাবলী, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, এবং নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র গ্রহনের পর একজন শ্িরমক কোম্পানীর অভ্যন্তরীন যাবতীয় নিয়মনীতি মেনে নিতে দায়বদ্ধ হন।
যোগদানের তারিখে নবনিযুক্ত শ্িরমক কর্মচারীরা সকাল ৮ ঘটিকায় প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগে হাজির হইবেন। চাকুরীতে যোগদানের পর পরই প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীকে আই ডি কার্ড প্রদান করা হবে।
কোন শ্িরমককে জোর পূর্বক কোন কাজে বাধ্য করা হবে না।
দক্ষ/ অদক্ষ শ্রমিকদের কাজের ধরণ ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় এবং বেতন নির্ধারণ হয়ে থাকে।
প্রতিবন্ধী নিয়োগ প্রত্যাশীকে অযোগ্য মনে না করে যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।
বেতন নির্ধারণের সময় বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নুন্যতম মজুরী গেজেট অনুসরন করা হয়।
সকল শ্রমিকদের - খালি হওয়া পোষ্টে/পদে আবেদন করার জন্যে উৎসাহিত করা হয়। কোম্পানী খালি হওয়া পোষ্টে/পদের বিজ্ঞাপন আভ্যন্তরিন নোটিশ, পোষ্টার, ব্যানার, পি.এ সিস্টেমে ঘোষনা প্রদান করা হয়।
নিয়োগ প্রদানের পর নির্বাচিত কর্মীদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ঃ
ক) কোম্পানীর নিয়মনীতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
খ) স্বাস্থ্য বিধি এবং নিরাপত্তা বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
গ) শ্িরমকদের অধিকার, শম্র আইন, ছুটির পদ্ধতি, মজুরীর হিসাব, আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদী ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
Helpful policy
উত্তরমুছুন