Heath and Safety Policy
Heath and Safety Policy স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি
মূলনীতি
যেকোন দুর্ঘটনা হতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান এবং কর্মস্থলে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধান করাই এই নীতির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠ ও পরিপূর্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন এবং তা কার্যে পর্যবসিত করার কোন বিকল্প নেই।
উদ্দেশ্য
ফ্যাক্টরী লিঃ এর প্রতিটি সেকশনের জন্য একটি সু-পরিকল্পিত বাস্তবতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন করা হয়। আর সেই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যগুলো নি আলোকপাত করা হল ঃ-
- প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
- প্রতিটি ফ্যাক্টরী ও পার্শ¦বর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ষ্টাফ ও শ্রমিককে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা ।
- স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক প্রতিটি শ্রমিকের জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতাল,ডাক্তার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
- ফ্যাক্টরীর প্রতিটি শ্রমিকের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- অনাকাঙ্খিত বৈদ্যুতিক ও অগ্নি দুর্ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা,প্রশিক্ষন ও নিয়মিত অনুশীলন করা।
অঙ্গীকার
ফ্যাক্টরী লিঃ দূর্ঘটনা মুক্ত একটি কর্ম পরিবেশ প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সবসময় অব্যহত রাখবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা মোকাবেলায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনেও এই প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া ফ্যাক্টরীতে ভালোভাবে কাজ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে ফ্যাক্টরী লিঃ আইএলও কনভেশন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধির বিভিন্ন দিক:
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৫১ থেকে ধারা ৬০ এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধির বিভিন্ন দিকগুলি বিশদভাবে বিশ্লেষন করা আছে। এছারাও শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠ স¦াস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নি¤েœ বর্নিত বিষয়গুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক) ডাক্তার ব্যবস্থ্য ঃ প্রতিদিন ফ্যাক্টরী চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ডাক্তার ও নার্স এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক শ্রমিকদেও চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তাছারা ডাক্তার ও নার্সগন শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেও স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষন ও সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে থাকেন।
খ) প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ ফ্যাক্টরীতে প্রতি ১৫০ জন্য একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসার বক্স রয়েছে এবং প্রতিটি বক্সে নি¤œলিখিত দ্রব্যাদি মজুদ থাকবে। প্রতিটি First Aid Box এ উল্লেখিত ঔষধ পত্রের সাথে তাদের ব্যবহারবিধি লেখা থাকবে। প্রতিটি বক্সে প্রত্যেক শিফটে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসায় পারদর্শী শ্রমিকের নাম ও ছবি বক্সের উপরে থাকবে। ফ্যাক্ট্ররীতে যে কোন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনায় শুমিকদেরকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শ্রমিকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
গ) এ্যাম্বুলেন্স-এ ফ্যাক্টরীর প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স এর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে । বিকল্প ও তড়িৎ ব্যবস্থার জন্য কোম্পানীর মাইক্রোবাস গুলো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
ঘ) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা (ধারা-৫১) ঃ সুষ্ঠ কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরীন ও পারিপাশির্^ক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা একান্ত প্রয়োজন। ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন সেকশন, সিড়ি ও যাতায়াতের স্থান সার্বক্ষনিক পরিস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত একবার জীবাণুনাশক দিয়ে ধৌত করতে হবে। কর্মস্থলের দেওয়াল ও কানির্শ প্রয়োজন অনুযায়ী বছর অন্তত একবার রং করতে হবে। শ্রমিদেরকে শচেতন করার লক্ষে ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত বিভিন্ন লিফলেট টানাতে হবে। বর্জিত দ্রব্য জঞ্জাল বা নির্গত ময়লা থেকে সর্বদা ফ্যাক্টরীকে পরিস্কার রাখতে হবে এবং এগুলো ফ্যাক্টরী থেকে পৃথক অগ্নিরোধক বর্জ্য দ্রব্যের জন্য নির্ধারিত স্টোরে রাখতে হবে।
ঙ) আলো, বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা (ধার-৫২,৫৭) ঃ আমাদের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হলেও গরমের সময় বায়ু চলাচল এবং শীতের সময় সহনীয় তাপমাত্রা সংরক্ষনের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকদের কাজের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। যাতে করে প্রতিটি শ্রমিক আরামদায়ক পরিবেশে কাজ করতে পারে। সেই সাথে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা কাজের সুষ্ঠ ও প্রয়োজনীয় পরিবেশের সাথে সাথে গুনগত মান রক্ষার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।
চ) খাবার পানি (ধারা-৫৮) ঃ ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিদের কর্মরত শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পান করার বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। পাত্রে রক্ষিত পানি সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ব্যবহার ও পানির আর্সেনিক পরীক্ষা করতে হবে। পানির পাত্রগুলি ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে রাখতে হবে। যেন শ্রমিকরা সেখানে বসে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে।
ছ) পায়খানা ও প্র¯্রাব খানা (ধারা-৫৯) ঃ ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যার অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পৃথক পুরুষ ও মহিলা টয়লেট থাকবে। টয়লেটের বেসিনে ও পানি নির্গমনের স্থানে সুগন্ধি নেফথালিন ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তোয়ালে, লিকুইড সাবান, বদনা ও ওয়েষ্টেজ পেপার বাস্কেঠ থাকবে। মহিলা টয়লেটে ঢাকনযুক্ত ওয়েষ্টেজ পেপার বাস্কেট থাকবে। সার্বক্ষনিক পানির ব্যবস্থাসহ ফ্লাশিং সিস্টেম অবশ্যই থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই টয়লেটে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কোন নল দিয়ে কোন অবস্থাতেই পানি লিকেজ হতে পারবে না। প্রতিটি টয়লেটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লিপার থাকবে সেগুলো শ্রমিকরা শুধু টললেটের ভেতরে ব্যবহার করবে।
জ) পিকদানী ঃ
১. প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা এবং তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা।
২. কোন ব্যক্তি কারখানায় পিকদানি ছাড়া কারখানার আঙ্গিনার মধ্যে থু থু ফেলবেন না। এ বিধান সম্পর্কে এবং এর লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার ভেতরে উপযুক্ত স্থানে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টানিয়ে রাখা।
উল্লেখিত বিষয় গুলি ছাড়াও ফ্যাক্টরীতে কাজের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পরিমান পিকদানী স্থাপন, ফ্যাক্টরীকে ধুলোবালি মুক্ত রাখা এবং আর্দ্রতা মুক্ত রাখার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সচেতনতার সাথে সাথে প্রতিটি শ্রকিমককে এই বিষয়ে জ্ঞান দানের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে।
Helpful policy
উত্তরমুছুন